বর্ণ তোমাকে

সবকিছু পাশে ফেলে এসো, হাত ধরো শংকিত প্রেমিকের।
বলছিনা ছুড়ে ফেলে, বিচারজ্ঞান হারাইনি আজো,
একদিন যদি প্রয়োজন উঁকি দেয় তোমাতে!

ঘড়ি হতে খ’সে গিয়েছে যে সময়, তারে পুরোবার পথ জানা নেই,
তবু এই গাঢ় পৌঢ় সময়ে এসো ‘মুহূর্তেই জান্নাত দর্শন’ করি নিজেদের অন্দরে।

চারপাশ ছেয়ে গেছে মানুষে-
তারা হাটে চলে খায় দায় ঘুমায়, ব্যস্ত হয় শান্ত হয়।
তারা কামে ঘামে ক্রোধে মুহুর্মুহু মরে যেতে যেতে
বেঁচে ওঠে। আর বাঁচতে বাঁচতে মরে।

তুমি আমি অনেক কাল চারপাশের মানুষ।
অমন আলেখ্য লেখা ছিল না আমাদের পাতায়-
কথা ছিল ধুন্ধুমার গোল্লাছুটের, সমস্ত ভূ-ভাগে,
সোফায় খাটে টেবিলে ফ্লোরে বেডরুমে কিচেনে
জলের অতলে স্নানঘরে, আনকোরা সকালে, সূর্য্যের তলে মধ্য দুপুরে, সন্ধ্যায় ঘোর লাগিয়ে, অসাড় রাতে প্রাণ দিতে দিতে বুনো মহিষের শিঙে পৃথিবী নাচিয়ে,
সৃষ্টির গুঢ় উদ্দেশ্য ধ্বংস – সেকথা মেনে।

শব্দকুহকের রাশভারী কপটতা শুষে নিয়েছে আয়ু
সরু টানেলের ভেতর দেখানো পথে হেটে এসেছি এতটাকাল –
এবার এসো সরল গদ্যে সপি জীবন।

গৃহহীন ঈশ্বর মানুষের মাঝেই বাস করে,
আর বাস করে অসুর।
বন্দনা করে করে কত ঈশ্বর অসুর হয়ে ওঠে
সেই চেনা গল্প পাঠ করে হারিয়েছি নিজের কবিতা।
এবেলায় এসো, দৈবিক আলো ফেলে অন্ধকারে নেমে যাই-
তুলে আনি আদি মানবের কথকতা, তোমাতে আমাতে।
এসো, হাত ধরো।