মহাসামান্যর প্রতি

শুনেছি হিটলার প্রেমে পড়েছিল, শিকার হয়েছিল তীব্র রোষের, জন্ম পরিচয়ে। বোধকরি আপনিও তাই।
আপনার বন্ধু ভাগ্য কেমন- জানা হয়নি। সুখকর কিছু নয় ধারণা করি।

দেখুন, মানুষ মাত্রেই অসুর নয়, কিংবা সুর। চা খেয়ে কেউ যদি দাম দিয়ে না থাকে, কিংবা কেউ যদি তাচ্ছিল্য ভরে ছুড়ে থাকে মূল্য – সে দায় জ্ঞাতির নয়।

মাতাকে জিজ্ঞেস করুন, কষ্টের মাপকাঠিতে কোনটি উপরে- সন্তান জন্মের, নাকি বিদায়ের। মা নেই? যেকোনো মা-কেই না হয় জিজ্ঞেস করুন। মায়েরা মিথ্যে বলেনা।

ক’বার বাগানে গিয়েছেন?  উদ্যানে হেঁটেছেন ক’টা বিকেল? সুযোগ ছিল না? এত রাগ তাই!
আচ্ছা, মহাসাগর দেখেছেন? আদিগন্ত জোড়া নীল সবুজ পানি? বর্ণিল প্রাণ? রাতের আকাশে মহাকাল….
বেঁচে উঠতে ইচ্ছে করে নি?
কেউ জানায়নি আপনার ভেতর ঈশ্বর? অচ্ছুৎ জ্ঞানে? ঈশ্বরও অচ্ছুৎ বটে। কি এসে যায়!

বাতিটা আপনি নিভিয়ে দিতেই পারেন। যে কেউই পারে।
জ্বালাতে পারেন কি মহামান্য?