সাক্ষাৎকার 

-আপনি কী ধরনের বই পড়েন?
-এই ধরেন সব ধরনের বই-ই পড়ি।
-যেমন? 
-যেমন মনে করেন শিশু সাহিত্য বা শিশুতোষ সাহিত্য উভয়ই পড়ি।
-শিশুতোষ সাহিত্য? 
-জ্বি। ওটা শিশু সাহিত্যের চেয়ে মজার।
-একটু ব্যাখ্যা করবেন?
-এই ধরেন, লেখক ভদ্রলোক লিখতে চেয়েছিলেন বড়দের জন্য, তিনি নিজেও মনে করছেন যা লিখেছেন, বড়দের জন্যই লিখেছেন কিন্তু পাঠক বুঝছে যে কী লেখা হয়েছে।
-যেমন?
-সংবাদপত্র।
-আচ্ছা। শিশু সাহিত্য নিয়ে বলুন। জীবনের এই পর্যায়ে এসেও আপনার শিশু সাহিত্য ভালো লাগে জেনে কিছুটা হলেও অবাক হচ্ছি। আপনার মাঝে একজন শিশু বাস করে নিশ্চিত। তা, কার শিশু সাহিত্য ভালো লাগে?
-অবাক হবার কিছু নেই; আবার নিশ্চিত হবারও কিছু নেই। বিভিন্ন ইস্যুতে সাংবাদিকদের পরিবেশনা-ই আমার প্রিয় শিশু সাহিত্য। 
-এ কথা বলছেন কেন?
-কেন, জ্বিন-পরি, দেও-দানোর গল্প পড়ছেন না? ঠাকুরমার ঝুলিতে যাদের গল্প পড়েছেন? হ্যাঁ, আঙ্গিক একটু ভিন্ন- স্বীকার করতে হবে। তবে, এটাও তো রূপ পরিগ্রহেরই একটি অংশ।
-দেও-দানো ছাড়া?
-হুম, ভুতের গল্প। হুমায়ুন আহমেদের ‘বোতল ভুত’কে মনে পড়ছে। খালি বোতলে ভুত ভরা ছিল। এগুলোই পড়ছি।
-ইয়ে, অন্য প্রসঙ্গে যাই। সাহিত্যের আর কোন্ কোন্ ধারা আপনার ভালো লাগে? 
-সবই ভালো লাগে। যেমন ধরুন থ্রিলার বা রহস্যোপন্যাস। 
-কার থ্রিলার ভালো লাগে?
-যে যখন হিট, তার থ্রিলারই ভালো লাগে। এই মুহূর্তে গ্যাংস্টার ঘরানার থ্রিলার উপভোগ করছি।
-কোন লেখকের?
-অনেকেই আছেন তালিকায়। সবাই প্রিয়।
-সামাজিক উপন্যাস সম্পর্কে কিছু বলুন।
-এখানেও বেশ নতুনত্ব দেখা যাচ্ছে। আগের দিনে যে দুঃখের বেসাতি ছিল, এখনকার উপন্যাসগুলোতে সেটা কমে এসেছে। অত আহাজারি নেই। আর আহাজারি মানুষ পছন্দও করছে না। হাসি তামাশায় উড়িয়ে দিচ্ছে।
-এটা কেন হচ্ছে? সোশ্যাল ডাইমেনশন পরিবর্তন হচ্ছে বলে আপনি মনে করছেন? এটা কি একটা প্যারাডাইম শিফট?
-ভালো প্রশ্ন করেছেন। ওজনদার প্রশ্ন। এসব প্রশ্ন শুনতেও ভালো লাগে। বুদ্ধিজীবীদের সমীহ জাগে।যাহোক, আমি তা মনে করছি না। মনে যা করছি তা বলতে চাচ্ছি না।
-তবুও যদি অনুরোধ করি বলতে?
-তবুও বলতে চাচ্ছি না। কারণ সবাই জানে, কাইন্দা লাভ নাইরে পাগল।
-এই সংলাপটি কোথায় যেন শুনেছি।
-জ্বি শুনেছেন। আপনার অন্তরাত্মা বলেছে আপনাকে।
– অনেক ধন্যবাদ সময় দেবার জন্য। জ্যাম শেষ হতে চলল। ভিনগ্রহবাসী পত্রিকার পক্ষ থেকে আপনাকে শুভেচ্ছা।
-ভিনগ্রহেবাসীকেও শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন।