সারাজীবন ধান ভেনেছেন; সেই ধান ভানা চাল খেয়ে মানবজাতি উপকৃত হয়েছে। বিনিময়ে কোন প্রতিদান চাননি; তাই পাননি (মানব যেচে গিয়ে কিছু দেয় না, সেটা যতই প্রদেয় হোক)। এদিকে, প্রতিদান যে পাওয়া যাবে বা প্রতিদান তাঁর পাপ্য, এটিও তাঁর ভাবনাতে ছিল না।
শক্তিশালী মানবের সেবায় জীবন উৎসর্গকারী ঢেঁকির মৃত্যু হল। স্বর্গে পরম ঈশ্বর তাঁর পরম মমতায় ঢেঁকিকে কাছে ডেকে নিলেন, বললেন, “তোর এমন নি:স্বার্থ কাজে আমি খুব খুশি। তোকে আমি কর্মবিহীন অনন্ত সুখের জীবন দিলাম। যা, খুশি থাক।’
ঢেঁকি মাথা নিচু করে, ‘জ্বী মালিক’ বলে, মাথা নিচু করেই দাঁড়িয়ে রইল। পরম ঈশ্বর বললেন, ‘কিরে, কিছু বলবি? আরো কিছু চাস মনে হয়?’
-জ্বী মালিক।
-কি চাস বল। তুই যা চাস, তা-ই পাবি।
-মালিক কর্ম করতে চাই।
-বেঁচে থাকতে জীবনভর ধান ভানলি। এখন কি কর্ম করতে চাস?
-মালিক ধান ভানতে চাই।