বড়দের মতো করে চলি – ফিরি, আচার অনুষ্ঠানে যাই, স্যুট-কোট পরি, বড়দের খাবার খাই, করমর্দন করি, নড করি, কুশলাদি বিনিময়ে যাই, গ্লাস তুলতে তুলতে পরিহাসকে উপহাস করি। শুধু আমার বড় হতে ইচ্ছে করে না।
সভা করি, প্রশিক্ষণে যাই, দু’রূপেই। ডেডলাইন মিস করব করব কালে কালঘাম ছোটে, কর্তাবাবুদের তুষ্ট করতে রুষ্ট করি জীবন, বোধ। কর্তাবাবুরা তুষ্ট হন না। তুষ্ট হবার নিয়ম নেই তাদের। আমি প্রাণপণ লড়ি, দম ফেলতে ফেলতে বুঝি আমার বড় হতে ভালো লাগে না।
এসাইনমেন্ট নামাই, করসপন্ডেন্স করি, মহাদেশীয় তারচিঠি আনেটেন্ডেড থাকে না; নেগোসিয়েশন করি, যুক্তিতর্ক নামাই, সমঝোতা স্মারক বানাই, বক্তব্য দিই, বাহবা পাই, তিরস্কার জোটে, টেবিলের ওপাশে দয়া প্রার্থনার চোখ দেখি, রুদ্র চোখ দেখি, আমাকে ভস্ম করে, আমাকে করুণা করে, আমি রাজা-উজির মেরে বুক ফুলাই, হত্যা করা ব্যাঘ্র’র পিঠে এক পা তুলে বন্দুক হাতে দাঁড়াই-
এতসব সত্ত্বেও আমার বড় হতে ইচ্ছে করে না। ইচ্ছে করে আমি তোর সাথে থাকি, ইচ্ছে করে চারপাশ সবুজ মিনি চিড়িয়াখানা হোক, সকালের রোদ উঠুক, গাছের ছায়ায় বসি, তোর হলুদ জামা- সাদা সালোয়ার থাকুক, দু’পায়ের সাদা পাতা থাকুক আমার হাতের তালুতে, আমরা জল-কাদার সন্তান হয়ে উঠি-
২৯.০৫.২০২৩