আলিঙ্গন

কিছুদিন আগে খুব ইচ্ছা হলো, পরেরবার দেখা হলেই প্রেমিকাকে আলিঙ্গন করব; সে কথা তাকে ফোনে বললামও, শুনে সে হেসে কুটিকুটি, বলল, জীবনেও পারবে না।
কেন?
আমি দেবোই না!

আমি ধন্দে পড়ে গেলাম। সমস্যা হলো দুটি; এক, ও যদি সত্যিই আলিঙ্গন করতে না দেয় আর দুই, আলিঙ্গনটা করবো কোথায়! চারপাশে দু’পেয়েদের এমন ভীড়! কোথায় যাব! রেস্টুরেন্টে বা পার্কে? সম্ভব না। শকুনের কাছ থেকে চোখ ছিনতাই করে তাকিয়ে থাকে সব। সিআইএ এজেন্টদের চেয়েও তীক্ষ্ণ নজরদারিতে আছে বিনামূল্যের ফেউ। কী করি!

পরের বিকেলে প্রেমিকাকে ফোন করে বললাম, পঙ্গু হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের সামনে দ্রুত চলে আয়।
ও কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই ফোন কেটে দিলাম। আর ফোন ধরলাম না।

আমি অপারেশন থিয়েটারের সামনে অস্থির পায়চারি করছিলাম। আমার আশেপাশে যথারীতি দুস্থ দু’পেয়েরা ছিল তবে সবার মুখে উদ্বিগ্নতার ছাপ। অন্যের দিকে তাকানোর সুযোগ তেমন নেই কারো।

ও এলো, চোখে-মুখে জিজ্ঞাসা, উদ্বিগ্নতার ছাপ। কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই আমি ওকে জড়িয়ে ধরলাম, নিজেকে প্রবোধ দেবার মতো করে বললাম, সব ঠিক হয়ে যাবে! সব ঠিক হয়ে যাবে! দেখিস সব ঠিক হয়ে যাবে…

০৯.০৬.২০২৩