মধু’র (আমাদের মধুদা, এই বাংলার মধুদা) ক্যান্টিনের সামনে একটা আম গাছ আছে। একবার ঐ গাছের নিচের দিকের একটা ডালে একটা মৌমাছির চাক হলো। মনুষ্যসমাজ স্বীকৃত অত্যন্ত পরিশ্রমী প্রাণী মৌমাছি সারা দিন মধু সংগ্রহ করতো। দিনে দিনে মৌচাক বেড়ে উঠল।
মৌমাছি নিরীহ প্রাণী; তবে তাদেরকে আক্রমণ করলে, আক্রমণকারীকে তারা ঠিক ঠিক পাওনাটা বুঝিয়ে দেয়- এটা মনুষ্যসমাজ জানতো। সেজন্য সারাদিন মৌমাছিদের দৌড়ঝাঁপে কিছু মনুষ্য নেতা বিরক্ত হলেও, ঐ চাকের আশপাশ এড়িয়ে, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলতো, বসতো। একবার এক জ্বালাময়ী নেতা মৌমাছিদের ওপর ব্যাপক ক্ষেপে, ঐ ডালের তলে গিয়ে, “মস্তানি দেহাস!” বলে তার অবৈধ, এবং অলমোস্ট জংপড়া ছক্কা বের করে ঠুসঠাস করে গুলি করে দিল।
বাকিটুকু ইতিহাস।