সাত্তারের গালফ্রেন্ড সাত্তাররে এমন ভালবাসে, এমন ভালবাসে যে সাত্তার কালেভদ্রে সুযোগ পেলে ভাবে শেষ কবে দম ভরে শ্বাস নিছিলো। গালফ্রেন্ডের ভালবাসার এমন তোড়, সাত্তার করে নড়বড়।
মাঝেমাঝে সাত্তারের কান্দা পায়, সাত্তার ভাবে, এত ভালবাসা কেন তার জীবনে! ভালবাসা নিয়ে এই ভাবনাটাও সে ভাবে কালেভদ্রে, সুযোগ পেলে। সাত্তারের গালফ্রেন্ড সাত্তারের সামনে থাকলে বলে, ‘আমার মিহি চা’য়া থাকো।’ সাত্তার চা’য়া থাকে। চা’য়া থাকতে থাকতে সাত্তারের কান্দন পায়। এত ভালোবাসা কেন তার জীবনে!
সাত্তারের গালফ্রেন্ড সাত্তারের সামনে না থাকলে মোবাইলে কল দিয়ে বলে, ‘আমার সাথে কথা বল।’ সাত্তার আর কথা পায় না, সে বলতে পারে না, যে সে ঐ মুহূর্তে বাটে আছে। বাটে ফেলে দেয়া জীবনের প্রতি তার রাগ হয়। মনেমনে ভাবে, বাটে ফেলার আর টাইম পাইলি না রে জীবন! মাঝেমাঝে চকিত ভাবে, জীবনেরও তো একটা দাবী আছে! পরক্ষণে তওবা তওবা করে, গালফ্রেন্ডরে রাইখা অন্যকিছু ভেবে ফেলায় খুব লজ্জিত হয়, মর্মে মরে যায়!
সাত্তারের দুইটা মোবাইল ফোন, দুইটা নম্বর। গালফ্রেন্ডের সাথে কথা বলতে বলতে একটা ফোনের ব্যালান্স বা চার্জ দফারফা হয়ে এলে অন্যটা দিয়ে শুরু করে। চোখের আড়ালের প্রতিটা মুহূর্ত গালফ্রেন্ড সাত্তাররে ফোন দিয়ে চোখে চোখে রাখে। সামান্য সময়ের গ্যাপ হলেই মোবাইলে গালফ্রেন্ডের আদরে সাত্তারের অবস্থা এমন হয় যে, সাত্তার কান্দা লুকায়া ভাবে, ‘ এত ভালবাসা কেন তার জীবনে!’
আজ অফিসে বেজায় চাপ ছিল, কাজ করতে করতে খেয়াল করা হয়নি যে একটা সেটের চার্জ শেষ প্রায়। অফিস থেকে বের হয়ে বাসে লটকি দিয়ে গালফ্রেন্ডরে জানাইতে ফোন বের করে দেখে একটা বন্ধ, আরেকটা সেট বের করে কল করতে গিয়ে দেখে ব্যালান্স নাই। বাস চলছে, আগামী ৪৫ মিনিটের আগে থামা, আর সাত্তারের নামার কোন সুযোগ নাই….
গালফ্রেন্ডেরে কি জবাব দেবে ভেবে না পেয়ে প্রচণ্ড অস্থিরতায় সাত্তারের কান্দা পায়, কান্দা কান্দা মনে সে ভাবে, তার জীবনে এত ভালবাসা কেন!