প্রযোজক, পরিচালক, কাহিনীকার কাম সংলাপ রচয়িতার আলাপচারিতা চলছে।
প্রযোজকঃ কাহিনীটা শেষ করবা পুকুরের ঘাটে। নায়ক নায়িকার শেষ দেখা হবে। নায়িকা জানাবে তার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। এ কথা নায়ক সহ্য করতে পারবে না। দুজনেই মারা যাবে। এমন ট্রাজেডি দিবা, যেইটা আগে কেউ কুনুদিন ভাবে নাই। এমন রুমান্টিক ঘটনাও আগে কেউ দেখে নাই। বুজ্জো?
কাহিনীকারঃ বস, আধা ঘন্টায় স্ক্রিপ্ট নামায়া দিতেছি।
আধঘন্টা পর স্ক্রিপ্ট হাতে পেয়ে পরিচালক জোরে জোরে পড়তে শুরু করলেন, প্রযোজক শুনলেন।
নায়কঃ তুমি যে আইজকাল আর পানি নিতে আসো না?
নায়িকাঃ আমার বিয়া ঠিক অইছে!
নায়কঃ কি কও এইসব! বিয়া ঠিকোইছে মানে! তুমারে দেখার লাইজ্ঞা পতিদিন আমি পুকুরের ঘাটে আসি, আশেপাশে ঘুরঘুর করি, আমার ধোয়া জামা কাপড় ভিজায়া আবারও ধুই! তুমারে ছাইড়া আমি কেমনে থাকমু!
নায়িকাঃ (কান্নায় ভেঙে পড়ে) আমি জানিনা! আমি কিস্তা জানিনা! (দুহাত উপরে তুলে) আল্লা…..!
স্ক্রিপ্ট এখানেই শেষ। প্রযোজক কাহিনীকারের দিকে ফিরে বললেন, ট্রাজেডি তো শুরু হইলো মাত্র! এর পরে কি!
কাহিনীকারঃ এরপরেই তো চমক বস। রিয়েল ট্রাজেডি! নায়ক নায়িকার মৃত্যু!
প্রযোজকঃ তা তো বুঝলাম। কিন্তু মৃত্যুটা হইবো কেমনে? পুকুরে ডুবায়া? সলীল সমাধি?
কাহিনীকারঃ না বস, সম্পূর্ণ নতুন, অভিনব ট্রাজেডি।
প্রযোজকঃ- কি সেইটা।
কাহিনীকারঃ আমি কিন্তু ইঙ্গিত দিছি বস।
প্রযোজকঃ-কই দিছছ!
কাহিনীকারঃ বস, নায়িকা হাত তুলছে না?
প্রযোজকঃ হ তুলছে।
কাহিনীকারঃ আল্লার কাছে ফরিয়াদ করছে না?
প্রযোজকঃ হ, করছে।
কাহিনীকারঃ ঐ খানেই ঘটনা ঘইটা গেছে।
প্রযোজকঃ আরে ব্যাটা কি সেইটা!
কাহিনীকারঃ নায়ক নায়িকা দুইজনের ফরিয়াদই আল্লায় শুনছেন। এই দুনিয়ায় তাদের কপালে মিলন নাই। তাই আসমান থেকে ঠাডা আসে। সেই ঠাডা খায়া নায়ক নায়িকা দুইজনেই মইরা যায়…. সম্পূর্ণ নতুন ট্রাজেডি বস!