(প্রাপ্তবয়স্কদের পোস্ট, শিশুরা পড়বেন না দয়া করে।)
ভূমিকা :
আজ জ্যাম সাহিত্যের দু’জন মরণ কঠিন ভক্ত আমার দপ্তরে এসেছিলেন। তাদের সঙ্গে সৌজন্য মূলক কুশলাদি বিনিময়ের পরপরই একজন বললেন, “স্যার, জ্যাম কিন্তু অনেক বেড়েছে।” অন্যজন তার কথা কেড়ে নিয়ে বললেন, “সে তুলনায় আমরা কিন্ত কোন জ্যাম সাহিত্য পাইনি, পাচ্ছি না।”
শুনে আমি মনেমনে খুব খুশি হলাম, ভাবলাম, যাক বাজারে কৃত্রিম চাহিদা তৈরি হয়েছে। ওদেরকে এই খুশিটা বুঝতে না দিয়ে শুধু ভদ্রতার মুচকি হাসি দিলাম। মনে মনে ঠিক করলাম আজ কিছু একটা লিখবো, বেশি দেরি হলে পাঠক অন্যদিকে মুখ ফেরাতে পারে…এই মুহূর্তে রাস্তায় আছি, বাসায় ফিরছি অফিস থেকে। জ্যাম ভালো পড়েছে, মনে হচ্ছে কিছু লেখা দরকার। আমার মাথা ভাবতে শুরু করেছে, কিছু একটা বলতে হবে…
আইডিয়া পেলাম একজনের কমেন্ট থেকে। দেখুন তো, এটা আপনাদের জানা আছে কি না।
মূল পাঠ:
সিনেমা বিষয়ে দুজন বোদ্ধা আলোচনা করছেন। সিনেমায় মানবতার বিষয়টি যে কত গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা শেষে একজন আরেকজন কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তা আপনার কোন ধরনের চলচ্চিত্র ভালো লাগে?’
-আমার? আমার এডাল্ট মুভি ভালো লাগে।
-সরি?
-জ্বী! ঠিকই শুনেছেন। এডাল্ট মুভি। সবচে’ মানবিক মুভি। আমার খুব পছন্দ।
-কি বলছেন!
-হুম, আপনি বোধ হয় ধরতে পারছেন না ব্যাপারটা। বলছি। দেখুন, একমাত্র এডাল্ট মুভিতে কোন প্রকার মারামারি, হানাহানি, খুনাখুনি, জাতিগত বিদ্বেষ, বর্ণবাদ, আতংক, সন্ত্রাস- এসব নাই। আছে কি? নাই। তাহলে কী আছে? আছে ভালোবাসাবাসি, শুধুই ভালোবাসাবাসি। নরে-নারীতে ভালোবাসাবাসি, নরে-নরে ভালোবাসাবাসি, নারীতে-নারীতে ভালোবাসাবাসি, সর্বোপরি, মানুষে মানুষে ভালোবাসাবাসি। ভালোবাসাবাসির এই মুভির ভাষা সার্বজনীন। কারো বুঝতে কোন সমস্যা হয়না। মুভির যেখান থেকেই আপনি দেখতে শুরু করেন না কেন, এর গল্প বুঝতে আপনার কখনই সমস্যা হয় না। একমাত্র এই মুভিতে আপনি শতভাগ বাস্তবিক অভিনয় দেখবেন। এর ক্লাইমেক্স কেবল আনন্দই বাড়ায়, টেনশন দেয় না। এর শেষটা দেখুন, সবসময় আনন্দের। সবাই খুশি থাকে। সাচ আ হ্যাপি এন্ডিং!…
যে বোদ্ধা শ্রোতা শুনছিলেন এসব, তাকে এই কথোপকথনের পর থেকে মানবিক কেন, কোন দানবিক মুভির আলোচনায়ও আর পাওয়া যায় নি।