বহুবছর পর গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বাণী নিয়ে একটা বাংলা সিনেমা মুক্তি পেল। মুক্তি পাবার আগেই পত্র পত্রিকায় সিনেমাটি নিয়ে বেশ আলোচনা হলো, ধনাত্মক সব মন্তব্য এলো বিভিন্ন বোদ্ধা মহল থেকে, বলা হলো এমন সিনেমা হওয়া উচিত, এমন সিনেমার পৃষ্ঠপোষকতা করা প্রয়োজন, এমন সিনেমা হলে গিয়ে দেখা উচিত, যেন নির্মাতাগণ উৎসাহ পান, ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি।
বোদ্ধাদের ধনাত্মক সব মন্তব্য শুনে যোদ্ধা আমি ঠিক করে ফেললাম সিনেমা হলে গিয়েই এই সিনেমা দেখব, নির্মাতাদের উৎসাহ দেব, আর এধরণের সিনেমা নির্মিত হোক- তা আমরা চাই, সেটা প্রমাণ করে আসব। ভাবনা মোতাবেক চলে গেলাম মতিঝিলে মধুমিতায় সিনেমা দেখতে।
এইডস সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে নির্মিত সেই সিনেমার নাম “মেঘলা আকাশ”। সিনেমার নামেই আমি মুদ্ধ। কী অসাধারণ রূপক নাম! মেঘলা আকাশ! এইডস এসে আমাদের সুন্দর আকাশকে ঢেকে দিচ্ছে কালো মেঘে, আমাদের জীবনে ছড়াচ্ছে শংকা, উৎকন্ঠা- এসবই প্রকাশ করছে নামটি। কী অসাধারণ কাব্যিক আর শৈল্পিক নাম!
সিনেমা শুরু হলো। হাজার বছরের পুরনো সেই গতানুগতিক চিত্রগ্রহণ আর লালচে পরিস্ফুটন! হাজার বছরের পুরনো সেই একই ধাঁচের অভিনয় কলা! আমি আশা করতে থাকি, হয়তো সামনেই চমক আসছে। এইডসের ভয়াবহতা গল্পে গল্পে উঠে এলো বলে।
আমার আশায় প্রথম ধাক্কা লাগলো যখন সিনেমা শুরুর পরেই দেখলাম দশাসই নায়িকার নাম, “মেঘলা”। নায়িকার নাম মেঘলা দেখে আমার মনে কু ডাক দিল, ‘তাহলে কি নায়কের নাম আকাশ?’
পাঠক বুঝে নিন নায়কের নাম কী, আর এরপর কী হয়েছিল।
আমি টাকা চাইনি, কেবল সময়টা ফেরত চেয়েছিলাম।