অবশেষে তাকে আমি পেলাম। না পেয়ে না পেয়ে একসময় আমার মনে হয়েছিল আর পাব না; বাড়তে বাড়তে মিইয়ে যেতে থাকা ব্রহ্মাণ্ডের মত আমিও ক্ষয়ে যাব, শুধু তাকে আর পাওয়া হবে না আমার। কিন্তু পেয়ে গেলাম। একজন মনোরঞ্জনকারী যেমন আশাবাদের বুলিতে ঝুলিয়ে রাখে দর্শক, আমাকেও কেউ অমন করে ঝুলিয়ে রেখেছিল। ঝুলে ঝুলে অবশেষে তার দেখা পেলাম।
আমি তার কাছে গেলাম, কোন দ্বিধা, কোন জড়তা ছিল না আমার মাঝে। আমি তাকে প্রশ্ন করলাম অকপটে, আমাকে তুমি স্বর্গচ্যুত করলে কেন!
সে আমাকে দেখল, তার ভ্রু কুঁচকে উঠল, বললো, তোকে আমি স্বর্গচ্যুত করতে যাবো কেন! তুই কে!
– ভালো করে চেয়ে দ্যাখো! আমি আদম।
– হ্যাঁ, ঠিকই বলেছিস। মাথা খারাপগুলো আদমই হয়।
-তুমি এড়িয়ে যাচ্ছো। আমার প্রশ্নের জবাব দাও।
-যেভাবে তুই জেনেছিস যে তুই আদম, সেভাবেই জেনে নে কেন স্বর্গচ্যুত হয়েছিস।
আর কোন কথা বললো না; আর কোন কথা বলার সুযোগও দিল না সে। হনহন করে হেঁটে ভরা চৈত্রের দুপুরে কোথায় মিলিয়ে গেল!
০৩/০৪/২০২০