-আপনারা তো দু’জনই চাকরি করেন, বাচ্চা দেখাশোনা করে কে?
-বাচ্চা দেখাশোনার জন্য একটা কিডন্যাপার রেখেছি।
-কী!
-হ্যাঁ। কিডন্যাপারই দেখাশোনা করবে।
-মানে কী! কিডন্যাপার বাচ্চার দেখাশোনা করবে! কীভাবে কী! সে কি আপনার বাচ্চাকে তুলে নিয়ে যাবে, সারাদিন আটকে রাখবে আর দিন শেষে আপনারা টাকা দিয়ে বাচ্চাকে মুক্ত করে আনবেন?
-আরে কী বলছেন! এমন হবে কেন! কিডন্যাপার বাসায় আসবে, সারাদিন থাকবে, বাচ্চাকে ঘুম পাড়াবে
-দাঁড়ান দাঁড়ান, আপনি বোধহয় বেবিসিটারের কথা বলছেন।
-হুম, সেটাই। ইহুদি-নাসারা ওদেরকে বেবিসিটারই বলে। আর বাড়ির কর্তা সুযোগ পেলে ওদের সাথে খাতির জমিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়।
-এসব কী বলছেন!
-কেন আপনি জানে না? নাসারাদের সিনেমায় দেখেননি?
-ভাই, সিনেমা তো ফিকশন। বানোয়াট গল্প। সব কি আর সত্য হয়?
-হুম, বানোয়াট, ফিকশন, সব সত্য হয় না। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, ট্রুথ ইজ স্ট্র্যাঞ্জার দ্যান ফিকশন।
-আচ্ছা বুঝলাম। কিন্তু বেবিসিটারের নাম পালটে কিডন্যাপার রাখার শানে নুযূল কী?
-ভালো শব্দ বলেছেন। আমাদের এধরণের শব্দ বেশি বেশি আমল করা দরকার।
-জ্বি ভাই। এখন বলেন, কিডন্যাপার নামকরণ কেন।
-খুব সহজ। দেখুন, বাচ্চা মানে কিড, আর ঘুম হলো ন্যাপ। আমরা যখন অফিসে, তখন আমার কিডকে যে ন্যাপ করায়, সে তো কিডন্যাপারই, তাই না?
১৫.০৪.২০২৩