ইমরান আজাদ অভিযোগ করলো, “ভাই, এখন আর জ্যাম সাহিত্য পাইনা কেন? জ্যাম কি কমে গেছে নাকি ঢাকা শহর থেকে?”
আমি হাসলাম। এর উত্তরে কোন কমিক টাইমিং আমার মাথায় আসছিলো না। আমার হয়ে সরদার ফারুক ভাই উত্তর দিলেন, “আরে, জ্যাম ছুটলেই না মনে হতো জ্যামে আছি। এখন তো জ্যাম ছুটেই না! মনে হয় ঘরে বা অফিসে বসে আছি। জ্যাম সাহিত্য হবে কিভাবে!”
কবিরা সত্যদ্রষ্টা হয়।
জ্যাম সাহিত্য না হওয়ার কোন কারণ নেই। জ্যাম সাহিত্য আছে, থাকবে। এই গ্রহ যতদিন থাকবে, ততদিন জ্যাম সাহিত্য থাকবে, কারণ, এই গ্রহের কোথাও না কোথাও সময়সীমাবিহীন উন্নয়ন উন্নয়ন কার্যক্রম চলতেই থাকবে, রাস্তায় তার প্রভা!ব পড়বেই, আর আমার মত দু’ একজন জ্যামে বসে গুল খিলাবেই। এই গ্রহ বাসের অযোগ্য করে, গ্রহ ছেড়ে মনুষ্যজাতি যখন অন্য গ্রহে বসতি গড়বে, উন্নয়ন উন্নয়ন কার্যক্রম চালাবে, সেখানকার রাস্তায় তার প্রভা!ব পড়বে, তখন সেখানেও আমার মত কেউ জ্যামে বসে গুল খিলাবে।
জ্যাম সাহিত্যিকেরাও সত্যদ্রষ্টা হয়।
সবকিছুতে কেমন একটা জ্যাম লাগা ভাব বলেই এই জ্যাম সাহিত্যিক হাত গুটিয়ে বসে ছিল; নয়ত, জ্যাম সাহিত্যের টপিকের তো অভাব নেই! শিশুদের গিনিপিগ বানানো থেকে মোরাল পুলিশিং- এত টপিক কই রাখি!
চোখের যা অবস্থা আমার, এত কিছু নিয়ে লিখতে গেলে শেষে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের কাঁচ দিয়ে চশমা বানাতে হবে; এবং তাতেও শেষ রক্ষা হবে না!
শাড়ি নিয়ে একটা বহুল প্রচারিত গল্প দিয়ে শেষ করি।
বুয়া গেল গৃহকর্ত্রীর কাছে, বলল, “ম্যাডাম, আপনের শাড়ি আপনে ফিরত নেন!’
-কেন? শাড়িতে কি সমস্যা? মাত্র ক’দিন আগে কেনা, খুব বেশি তো পড়িনি! এখনো তো নতুন!
-নতুন পুরান সমস্যা না ম্যাডাম….
-তো কি সমস্যা!
– এই শাড়ি পড়লে ভাইজান আমার কাছে ঘেঁষে না।
-কি! এত বড় কথা! কাছে ঘেঁষে না! তলে তলে এইসব! আজ আসুক তোর ভাইজান অফিস থেকে! দুইটারই ভাইজানগিরি ছোটাবো!
-রাখেন ম্যাডাম, আমার কতা শ্যাষ অয়নাই। বিচার পরে কইরেন। এই শাড়ি পইড়া আমি গতকাইল ডাইনিং টেবিলো খাবার সাজাইতেছিলাম, এর মাঝে ডাইবার সেলিম আইসা আমারে পিছন থেক্কা বেড়ায়া ধরছে, তারপরে…!
পিন পতন নীরবতা!
বস্তুত, শাড়ি নিয়ে কোন সত্য বলা ঠিক না। শাড়ি বিষয়ক সত্যে বাঙালি নারী-পুরুষ উভয়েরই সমস্যা হয়।