১.
মিজান সাহেব বসে আছেন অনেকক্ষণ হলো। তার বিরক্ত লাগছে। শুধু যে বিরক্ত লাগছে, তা না; অকথ্য ভাষায় কিছু গালিও আসছে মুখে, গালি দেয়া যাচ্ছে না, গিলে ফেলতে হচ্ছে। নতুন জায়গা, ভাব চক্কর না বুঝে মুখ খোলা ঠিক হবে না।
মিজান সাহেব দুটি বিষয়ে বেশ অবাক হয়েছেন। এ জায়গা সম্পর্কে এতকাল যা জেনেছেন, পড়েছেন, তার সাথে এর তেমন মিল নেই! এখানে নাকি সময় ফুৎ করে চলে যায়! বিরক্তি লাগার প্রশ্নই নাকি আসে না! অথচ তার মনে হচ্ছে তিনি যেন অনন্তকাল ধরে বসে আছেন, বসে বসে ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছেন। মিজান সাহেবের কিঞ্চিৎ সন্দেহ হলো, তিনি কি তবে সৌভাগ্যবানদের একজন নন? যেভাবে তিনি এসেছেন, সেভাবে তো সৌভাগ্যবানেরাই আসে বলে তিনি এতকাল জেনেছেন! তাহলে!
বদমাইশ পিন্টু এখনো আসছেনা। মিজান সাহেব মনে মনে ঠিক করে ফেলেছেন, পিন্টু আসা মাত্রই তাকে নগদে কিছু বসিয়ে দেবেন। রাগ বিদ্বেষ এখানে থাকার কথা না; তবুও মিজান সাহেবের রাগ ও ক্ষোভ জন্মাচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত বাড়ছে। “হারামজাদা পিন্টুর বাচ্চা! সড়কে আমারে বিমানের ফিল দেস! কতবার কইছি আস্তে যা, আস্তে যা! …র বাচ্চা, আয় তুই, তোর ফিল দেওয়া বাইর করি! তোর ফিল আমি তোর….”
২.
পুলিশের গাড়ি, এম্বুলেন্স চলে এসেছে। ছোকরা মত কন্সটেবল এক্সিডেন্টে পড়া গাড়ির ড্রাইভারের ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে নিয়ে সার্জেন্টকে বললো, ছার, ডাইবারের নাম পিন্টু। মনে হয় না টিকবো। যাত্রী স্পট ডেড।