মানুষের কথোপকথনের ধরন-ধারণ, বিষয়-প্রকরণ যুগে যুগে পরিবর্তিত হয়। সময়ের হালচাল ও সমাজের রীতিনীতি- মানুষের মাঝে ভাবের আদান-প্রদান নিয়ন্ত্রণ করে, কথা বলার বিষয় পালটে দেয়। পালটায় না কেবল মানুষের অনুসন্ধিৎসা, মানুষের কথা বলার ইচ্ছা। প্রাচীনকালে মানুষের কথোপকথনের বিষয় কেমন ছিল? পুরাকালেই বা মানুষের কথোপকথনের বিষয় প্রকরণ কী হয়েছে? আসুন, এই মহতী জ্যামে বসে সেদিকে চেয়ে থাকি। আল্লাহ মালিক।
প্রাচীনকালেঃ আপনাদের এলাকায় এবছর ওলাউঠা কেমন হয়েছে, জনাব?
পুরাকালেঃ আপনার এলাকায় জ্যাম কি খুব বেশি? সকালে বের হলে রাতে ফিরতে পারেন তো? নাকি বাসায় আর কেউ যায়?
প্রাচীনকালেঃ শত দুঃখদুর্দশার মাঝেও কভু হাল ছাড়িতে নাই।
পুরাকালেঃ হালার ট্রাফিক কই গেল! হালায় কি মইরা গেল নাকি! আরে ব্যাটা মরবি মর, কে না করছে! জ্যামটা ছুটায়া মর!
প্রাচীনকালেঃ অনাগত কঠিন সময়ের কথা ভেবে নিজেদের সংহত করতে হবে। খাদ্য সঞ্চয় করতে হবে ঝড়-ঝঞ্ঝার দিনের জন্য।
পুরাকালেঃ হালার শুকনা খাওন নিয়া বাসে ওঠা দরকার ছিল। না খাইওয়া মরতে হইব মনে হইতেছে!
প্রাচীনকালেঃ জীবনে চলার পথ কভু সরল রৈখিক নহে। জীবনের পথ বড়ই বন্ধুর!
পুরাকালেঃ হালার পুতেরা রাস্তাডারেই খালি পায়, যখন তখন খুইদ্দালায়! শইল্লের হাড্ডি-গুড্ডি জায়গা মতো নিয়া বাড়ি পৌছাইতে পারব তো!।
প্রাচীনকালেঃ অলস বসে থাকা মানে জীবনক্ষয়। অলস বসে থাকা ঠিক নয়।
পুরাকালেঃ জ্যামে বসে বসে জীবনটা গেল। হায়রে মানবজনম!
প্রাচীনকালেঃ যাহা যায়, তাহা আর ফিরে নাকো!
পুরাকালেঃ হালার সবকিছু শেষ হয়, জ্যাম আর শেষ হয় না! হায়রে আমার আমরণ জ্যাম!
(জ্যাম শেষ হয়নি। আমি নামছি। একটু খাওয়া দরকার। পরে আবার দিবোনে।)