পবিত্র রমজান এলো, রাস্তায় জ্যাম বাড়লো, অথচ জ্যাম সাহিত্য এলো না- এটা কি কোন কথা!
না, ভাই, এটা কোন কথা না। কথা না বলেই, এসে গেছে জ্যাম সাহিত্য।
মূল পাঠ:
মানুষ বিপদে আপদে কাছের মানুষের কাছে ছুটে যায়; বিপদ থেকে উত্তরণের উপায় জানতে চায়, পরামর্শ চায়, সাহায্য চায়। আমি নিজেও এর ব্যতিক্রম নই। আমি বিপদে পড়লে আজকাল কাছের এক মানুষের কাছে যাই, তার কথা শুনি, পরামর্শ নেই। কোন বিষয়ে খটকা লাগলে, বা প্রশ্ন তৈরি হলেও তার কাছ থেকে ব্যাখ্যা জানতে চাই। তার ব্যাখ্যা আমাকে সাহায্য করে- ব্যাপারটা তা না; ব্যাপার হলো, তার ব্যাখ্যা আমাকে ভিন্নভাব ভাবতে সাহায্য করে। আমার কাছের এই মানুষটাকে আপনারা চেনেন। তিনি কিশোঞ্জা লুক নামে আপনাদের কাছে পরিচিত।
মূল কথায় আসি। প্রতিবছর পবিত্র রমজান আসলে বিধর্মী দেশগুলোও সংযত হয়, দ্রব্যমূল্য কমায়, অথচ আমাদের দেশের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বেড়ে যায়; রাস্তায় জ্যাম বেড়ে যায়, এবং মানুষের মাঝে একটা অস্থিরতা দেখা দেয়; যদিও পবিত্র রমজানে হবার কথা ঠিক এর উল্টোটা। এমনটা কেন হয়- এর অনেক ব্যাখ্যা অনেকের কাছে শুনেছি। সব ব্যাখ্যাই জানাশোনা আর গতানুগতিক। তাই এবার ভাবলাম দেশি ভাইয়ের কাছে যাই, জিজ্ঞেস করি এসবের কারণ কি।
-ভাই, সালাম। রমজানের প্রস্ততি কি?
-ওয়ালাইকুম সালাম। কি জিগাইলাইন? রমজানের ফিরাগবার পোরোস্তুতি কিয়ের! রমজান কি যুদ্দ!
-না মানে, বাজার সদাই এর একটা ব্যাপার আছে না! ইফতারে কি করবেন, সেহেরিতে কি খাবেন- এসব?
-অত যুদি কাওনের চিন্তোই হরুইন, তে ফিরাগবার রুজা কিয়ের!
– তা তো ঠিকই। তো ঠিকই। আচ্ছা ভাই, আমাকে একটা জিনিস বলেন তো, রমজানে জিনিস পত্রের দাম বেড়ে যায় কেন?
-কেরে আরেগবার! সবেরে সংযত রাহনের লাইজ্ঞা!
-সবেরে সংযত রাহনের লাইজ্ঞা! কি রকম?
-জ্বী, দরুইন, সারাদিন রুজা রাইক্কাআমরার মনডা কি চা’? চা’ না ইস্তারির সম’ দুইন্নাডা খায়া লাই? মনোও না? তে এইসম’ যুদি আফনে যা মনচা’, যিত্না মনচা’ খাওন পাইন, তে আফনে সবতা খায়ালতো চাইবাইন? নাকি? এমনে যুদি সবতা খায়ালতো ফারুইন, তে আফনের সংযম অইবো?… দাম বাড়া দেইক্কা আফনে কম কিনুইন, কম কাইন, আফনের রুজা কামে দে। যেরা দাম বাড়া, এরার লাইজ্ঞা দুয়া হরুইন।