যৌবনের শুরু থেকে হাঁসটা তার মালিককে ডিম উপহার দিয়ে এসেছে। মালিকও তাকে কুড়া, ভূষি, শামুক – এসব খেতে দিয়েছে। মালিকের প্রতি কৃতজ্ঞতায় সে লাল লাল কসুমের বড় বড় ডিম দেবার চেষ্টা করে গেছে, সফলও হয়েছে….
বেঁচে থাকলে সব প্রাণী বৃদ্ধ হয়, জাগতিক নিয়মে কদর কমতে থাকে। হাঁসও বৃদ্ধ হল, ডিম দেয়া সোনালী সময় ধূসর হয়ে এলো; শরীরে জমল চর্বি। মালিক তার অপেক্ষায় রইল শীতকালের।
অবোধ প্রাণীদের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় থাকে, তারা বুঝতে পারে আসন্ন বিপদ। হাঁস তার নিকট ভবিষ্যৎ দেখতে পেল দীঘির টলটলে জলে। সে টলটলে জলেই সে তার চোখের কালিতে পত্র লিখল মালিককে-
মালিক,
সজ্ঞানে সাধ্যের সবটুকু দিয়েছি।
অজ্ঞানে কি হয়েছে জানিনা।
করে গেছি যতটুকু ছিল। করে যাব।
বাকিটা-
ইতি
হাস।